[চট্টগ্রাম, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২]- প্রথমবারের মতো ই.আর.সি.পি. পদ্ধতিতে পিত্তনালীর পাথর অপসারণ করলো এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম। সম্প্রতি, হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা: মুশফিকুল আবরার ও তার টিম সফলভাবে এই জটিল অপারেশন সম্পন্ন করেন।
৫৯ বছর বয়সী এক নারী জন্ডিস, জ্বর ও পেটে ব্যথা জনিত সমস্যা নিয়ে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এ ভর্তি হন। যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তার পিত্তনালীতে পাথর ও পুঁজের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য যে, ভর্তির একমাস আগে রোগী হৃদরোগ জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এবং অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ও নতুন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি তৎক্ষণাৎ এভারকেয়ারে আসেন। অতঃপর তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে সিনিয়র কার্ডিওলজিস্টসহ মেডিকেল বোর্ড এবং রোগীর স্বজনদের সম্মতিক্রমে, ডা: মুশফিকুল আবরার-এর তত্ত্বাবধায়নে উচ্চ-ঝুঁকি নিয়ে ই.আর.সি.পি. পদ্ধতিতে অপারেশনের সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
চিকিৎসা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ডা: মুশফিকুল আবরার বলেন, “মেডিকেল পরিভাষায় জন্ডিস, জ্বর ও পেটে ব্যথা এই তিন উপসর্গের সমন্বয়কে চারকোট’স ট্রায়াড বলা হয়। এই অবস্থায় রোগীর পিত্তনালীতে কোন ইনফেকশন আছে বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হয় এবং জরুরি ভিত্তিতে পিত্তনালীর পাথর বা পুঁজ অপসারণ করা হয়। ই.আর.সি.পি. খুবই আধুনিক কিন্তু জটিল একটি পদ্ধতি। সাধারণত পিত্তনালীর পাথর বা কৃমি অপসারণ, পিত্তনালী বা গলব্লাডারে ক্যান্সার হয়ে এর মুখ সরু হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে পিত্তনালীর অভ্যন্তরে কৃত্রিমনালী স্থাপন, জন্মগতভাবে পিত্তনালীর মুখ সরু থাকলে তা কাটতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে ই.আর.সি.পি. পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। তবে সেক্ষেত্রে দক্ষ চিকিৎসক, অ্যানেস্থেশিওলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট সুবিধা থাকা আবশ্যক এবং এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এ প্রয়োজনীয় সকল সেবা-সুবিধা বিদ্যমান থাকায় আমরা সফলভাবে এই অপারেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছি।”